ঢাকা বুধবার, মার্চ ২৯, ২০২৩

Popular bangla online news portal

পুলিশ-আওয়ামী লীগ সংঘর্ষে আহত ৩০


সংলাপ প্রতিনিধি
১২:০৯ - শুক্রবার, মার্চ ১৭, ২০২৩
পুলিশ-আওয়ামী লীগ সংঘর্ষে আহত ৩০

পটুয়াখালীর বাউফলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩তম জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপনে নিয়ে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের পাল্টাপাল্টি সমাবেশকে কেন্দ্র করে পুলিশ ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান আ. মোতালেব হাওলাদার পন্থীদের সংঘর্ষ হয়েছে। এ ঘটনায় উপজেলা চেয়ারম্যান সহ ৩০ জন আহত হয়েছেন।

শুক্রবার (১৭ মার্চ) বেলা সোয়া ১১টার দিকে উপজেলা পরিষদের প্রধান ফটকের সামনের সড়কে ওই ঘটনা ঘটেছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বেলা ১১টার দিকে পৌর শহরের মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠ থেকে উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মোতালেব হাওলাদার একটি শোভাযাত্রা নিয়ে উপজেলা পরিষদের সামনে আসেন। এ সয়ম উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় জনতা ভবন থেকে স্থানীয় এমপি আ.স.ম ফিরোজের অনুসারীরা শোভাযাত্রা বের করার প্রস্তুতি নিচ্ছিল।

পুলিশ দু’পক্ষের সংঘাত এড়াতে উপজেলা চেয়ারম্যানকে তার শোভাযাত্রাটি সামনের দিকে না নিয়ে উপজেলা চত্বরে অবস্থানের অনুরোধ করেন। কিন্তু এক পর্যায়ে পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে উপজেলা চেয়ারম্যান ও তার অনুসারীরা সামনের দিকে এগিয়ে গেলে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সাথে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় উপজেলা চেয়ারম্যানসহ উভয় পক্ষের প্রায় ১০ জন এবং এক সাংবাদিক আহত হয়।

এ সময় উপজেলা চেয়ারম্যানের সমর্থকরা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে পুলিশের ওপর হামলা চালায়। তাদের ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও ফেষ্টুনের সাথে থাকা লাঠির আঘাতে ওসিসহ ৯ পুলিশ আহত হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ প্রথমে লাঠিচার্জ এবং পড়ে শর্টগানের ২০ রাউন্ড গুলি ছুঁড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনেন। এরপর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আল আমিনসহ পুলিশের একটি দল রাস্তায় টহল দিয়ে পরিস্থিতি সম্পূর্ণ তাদের নিয়ন্ত্রণে নেন।

বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আল মামুন জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। যারা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. প্রশান্ত কুমার সাহা জানান, উপজেলা চেয়ারম্যানের বুকে এবং আঙুলে কাটা দাগ রয়েছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।

উপজেলা আওয়ামী লীগ সূত্র জানায়, পূর্বঘোষিত বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনের শোভাযাত্রায় অংশ নিতে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে প্রায় ২০ হাজার নেতাকর্মী ও সমর্থকরা উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় জনতা ভবনে সমবেত হন। প্রশাসনের সাথে সমন্বয় করে বেলা সারে ১১ টায় শোভাযাত্রাটি বের করার প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছিল। কিন্তু উদ্দেশ্যপ্রনোদিতভাবে উপজেলা চেয়ারম্যান এই সংঘাতের সৃষ্টি করেছেন। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আওয়ামী লীগের কার্যালয় জনতা ভবন থেকে সমবেত নেতাকর্মীদের নিয়ে আ.স.ম ফিরোজের নেতৃত্বে একটি বর্নাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়ে পাবলিক মাঠ পর্যন্ত গিয়ে শেষ হয়।

শোভাযাত্রার প্রাক্কালে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে আ.স.ম ফিরোজ বলেন, যারা কোন দিন জয়বাংলা স্লোগান দেয়নি, যারা বঙ্গবন্ধু এবং প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে কটুক্তি করে তাদেরকে নিয়ে একটি চক্র আওয়ামী লীগের পূর্বনির্ধারিত শোভাযাত্রায় অংশ নিতে আসা নেতাকর্মীদের উপর হামলা করেছে। তিনি ওই ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন।

এ সময় তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ শান্তিপ্রিয় এবং মানুষের ভালবাসার দল। দুষ্টলোকের কোন ষড়যন্ত্রই সফল হবে না।