ঢাকা বৃহস্পতিবার, মার্চ ৩০, ২০২৩

Popular bangla online news portal

১৬ মে আত্মসমর্পণ করতে পারেন হাজী সেলিম


সংলাপ প্রতিবেদক
১৩:০৬ - বৃহস্পতিবার, মে ৫, ২০২২
১৬ মে আত্মসমর্পণ করতে পারেন হাজী সেলিম

হাজী সেলিম আগামী ১৬ মে আত্মসমর্পণ করতে পারেন বলে জানায় তার আইনজীবী সাঈদ আহমেদ রাজা। বৃহস্পতিবার (৫ মে) দুপুরে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সাঈদ আহমেদ রাজা বলেন, আশা করছি আগামী ১৬ মে বা তার কাছাকাছি সময়ে বিচারিক আদালতে হাজী সেলিম আত্মসমর্পণ করবেন। পাশাপাশি হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হবে। আগামী ২৫ মের মধ্যে হাজী সেলিমকে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে।

এরআগে দুর্নীতির মামলায় ১০ বছরের দণ্ড পাওয়া সংসদ সদস্য হাজী সেলিম আইন মেনেই বিদেশ গেছেন এবং ফিরেও এসেছেন বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। বৃহস্পতিবার দুপুরে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা জানান।

মন্ত্রী বলেন, তিনি ইমার্জেন্সি চিকিৎসার জন্য ব্যাংকক গিয়েছিলেন, আবার ফেরত এসেছেন। আইনগতভাবে যেটুকু প্রশ্ন আসে আমাদের হাইকোর্ট থেকে যে নির্দেশনা ছিল, সেটিকে সামনে রেখে গিয়েছেন। তিনি একজন সংসদ সদস্য, তিনি আইনের প্রতি অবশ্যই শ্রদ্ধাশীল। আইন মাথায় রেখেই তিনি গিয়েছেন। উনি (হাজী সেলিম) আইন মেনে ফেরত এসেছেন।

গত শনিবার বিকালে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে ব্যাংককে যান হাজী সেলিম। এ সময় সঙ্গে ছিলেন তার প্রটোকল অফিসার সোহেল, চিকিৎসা সহযোগী মোহাম্মদ আলী এবং ব্যক্তিগত সহকারী মহিউদ্দিন বেলাল। তবে তিনি বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা ১৫ মিনিটে দেশে ফিরেছেন বলেন জানান হাজী সেলিমের একান্ত সচিব মহিউদ্দিন মাহমুদ বেলাল।

উচ্চ আদালতে সাজা হওয়ার পর আওয়ামী লীগের এই সংসদ সদস্যের দেশ ছেড়ে যাওয়ার পর সমালোচনার ঝড় ওঠে। তার দেশে ফিরে আসা নিয়েও অনেকে সন্দেহ প্রকাশ করেন। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী খুরশীদ আলম এ বিষয়ে বলেছিলেন, ‘সাজাপ্রাপ্ত আসামি কীভাবে ইমিগ্রেশন পার হলেন এটাই তো অস্বাভাবিক। তিনি বিদেশে যেতে পারেন না। উচ্চ আদালত তাকে বলেছেন বিচারিক আদালতে যেতে, তিনি চলে গেলেন বিদেশে!’

প্রসঙ্গত, ২০০৭ সালের ২৪ অক্টোবর হাজী সেলিমের বিরুদ্ধে লালবাগ থানায় অবৈধভাবে সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এ মামলায় ২০০৮ সালের ২৭ এপ্রিল তাকে দুই ধারায় ১৩ বছরের কারাদণ্ড দেন বিচারিক আদালত। ২০০৯ সালের ২৫ অক্টোবর এ রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন হাজী সেলিম। ২০১১ সালের ২ জানুয়ারি হাইকোর্ট এক রায়ে তার সাজা বাতিল করেন। পরবর্তী সময়ে হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করে দুদক। ওই আপিলের শুনানি শেষে ২০১৫ সালের ১২ জানুয়ারি হাইকোর্টের রায় বাতিল করে পুনরায় হাইকোর্টে শুনানির নির্দেশ দেন আপিল বিভাগ। পরে ২০২০ সালের ১১ নভেম্বর এ মামলার বিচারিক আদালতে থাকা যাবতীয় নথি (এলসিআর) তলব করেছিলেন উচ্চ আদালত। আপিল শুনানিতে তার সাজা বহাল থাকে। আপিল বিভাগ তাকে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন।