স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের জন্য খাবার, শিক্ষা, চিকিৎসাসহ সকল সুযোগ-সুবিধা রয়েছে। এখানে অত্যন্ত মনোরম পরিবেশে বাস করছে তারা। আমরা চাচ্ছি রোহিঙ্গারা কক্সবাজার থেকে ধীরে ধীরে ভাসানচরে চলে আসুক। এখানে খাবার দিচ্ছে জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশনার (ইউএনএইচসিআর)। আমরা এর বাইরে যাবতীয় সবকিছু দিচ্ছি।
বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট) দুপুরে নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গারা যেন পালিয়ে যেতে না পারে এবং কোনো দালালের খপ্পরে না পড়তে পারে, সেজন্য কোস্টগার্ড কাজ করছে। এছাড়া তারা যেন কোনো ট্র্যাপে না পড়ে, ভুল তথ্য দিয়ে যেন মানবপাচারকারীরা রোহিঙ্গাদের নিয়ে যেতে না পারে তা দেখাশোনা করবে কোস্টগার্ড।
আসাদুজ্জামান খান বলেন, ড্রোন দিয়ে কোস্টগার্ড সবকিছু মনিটরিং করবে। তাদের হাতে সব কিছু ন্যস্ত করা হয়েছে। আমরা চাই রোহিঙ্গারা যেন নির্ভয়ে এখানে বসবাস করতে পারে এবং শিগগিরই যেন মিয়ানমারে ফেরত যায়।
এ সময় কোস্টগার্ডের মহাপরিচালক রিয়ার অ্যাডমিরাল আশরাফুল হক চৌধুরী, নোয়াখালীর জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান, পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলামসহ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এরআগে, দুপুর দেড়টায় নোয়াখালীর বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার ভাসানচরের রোহিঙ্গা ক্যাম্প পর্যবেক্ষণে হেলিকপ্টার যোগে ভাসানচরে আসেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।
এ সময় নোয়াখালীর জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান ও পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম তাকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন। এরপর তাকে গার্ড অব অনার প্রদান করেন পুলিশ সুপার।