জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় বিশ্ব নেতৃত্বকে এগিয়ে আসতে হবে। জলবায়ু সংকটের ফলে সবচেয়ে বেশি যেটি ক্ষতির সম্মুখীন হয় তা হলো মানবাধিকার। বাংলাদেশ
ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ (বিআইআইএসএস)
আয়োজিত এক সেমিনারে বুধবার (১৭ আগস্ট) এসব কথা বলেন জাতিসংঘের মানবাধিকার
বিষয়ক হাইকমিশনার মিশেল ব্যাচেলেট।
রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের নিরাপদ ও আবাসনগত সুবিধা নিশ্চিত করা না গেলে তাদের ফেরালে মানবাধিকার লঙ্ঘনের মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে।
বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের আশ্রয়ের ফলে শুধু পরিবেশ নয় অর্থনৈতিক নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন সর্বত্র, প্রত্যেকের মানবাধিকারকে প্রভাবিত করছে। আমরা যেখানেই থাকি না কেন, আমরা এটি দেখি এবং অনুভব করি। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে এর প্রভাবের জন্য অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে কমপক্ষে ৩৩০০ কোটি মানুষ।
এ সংকটে ইতোমধ্যেই যারা ঝুঁকিপূর্ণ পরিস্থিতিতে রয়েছে, নেতিবাচক প্রভাব এবং তা আরও তীব্রভাবে ভোগার ঝুঁকিতে রয়েছে তারা।
সামাজিক ও অর্থনৈতিক গঠন, বৈষম্যে ভোগা মানুষ, প্রান্তিক বা দুর্বল পরিস্থিতিতে থাকা ব্যক্তিদের জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাবের জন্য আরও বেশি বিপদগ্রস্ত করে তোলে। এর মধ্যে রয়েছে আদিবাসী, স্থানীয় ও গ্রামীণ সম্প্রদায়, কৃষক, অভিবাসী, শিশু, মহিলা এবং প্রতিবন্ধী ব্যক্তি, অন্যান্য গোষ্ঠী ও সম্প্রদায়।
অনেক আদিবাসীদের জন্য জলবায়ু পরিবর্তন খাদ্য নিরাপত্তা, ঐতিহ্যগত জীবিকা, সাংস্কৃতিক চর্চা ও তাদের আত্মনিয়ন্ত্রণের কার্যকর অধিকারকে বিপন্ন করে তুলছে। যারা অনিরাপদ ভূমি ও সম্পদের অধিকার তাদের জন্য ঝুঁকি আরও বেশি।
বিশ্বের সর্বাংশে গ্রামীণ সম্প্রদায়গুলোতে, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ভূমির খাদ্য উৎপাদনের ক্ষমতা হ্রাস পাচ্ছে এবং স্থানীয় সম্প্রদায় এবং কৃষকদের জন্য বিধ্বংসী প্রভাবসহ পর্যাপ্ত খাদ্যে মানুষের অ্যাক্সেস সীমিত করছে। গ্রামীণ এলাকার নারী ও শিশুদের ওপর প্রভাব, যারা দারিদ্র্যের মধ্যে বসবাস করছে বা অপুষ্টিতে ভুগছে।
চারদিনের সফরে গত রবিবার (১৪ আগস্ট) ঢাকায় এসেছেন মিশেল ব্যাচলেট। সেমিনারে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম, ওবিআইআইএসএস মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ মাকসুদুর রহমানও বক্তব্য রাখেন।