ঢাকা বৃহস্পতিবার, মার্চ ৩০, ২০২৩

Popular bangla online news portal

সংকটের শঙ্কা, একগুচ্ছ নির্দেশনা প্রধানমন্ত্রীর


সংলাপ প্রতিবেদক
১১:৫৭ - সোমবার, নভেম্বর ১৪, ২০২২
সংকটের শঙ্কা, একগুচ্ছ নির্দেশনা প্রধানমন্ত্রীর

করোনা পরবর্তী রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধসহ কয়েকটি কারণে ২০২৩ সাল সংকটের বছর হবার শঙ্কা রয়েছে, তাই খাদ্যের উৎপাদন বাড়ানোসহ সবাইকে প্রস্তুত থাকতে হবে বলে মন্ত্রিসভায় একগুচ্ছ পর্যবেক্ষণ ও নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সোমবার (১৪ নভেম্বর) মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোর ২০২১-২২ অর্থবছরের কার্যাবলি-সম্পর্কিত বার্ষিক প্রতিবেদন উপস্থাপনের সময় এসব বিষয়ে আলোচনা হয়।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে তার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয় মন্ত্রিসভার বৈঠক। পরে সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রিসভার বৈঠকের সিদ্ধান্তগুলো জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। আগামী বছর সংকটের বছর হওয়ার আশঙ্কার কথা তুলে ধরেন তিনি।

নির্দেশনা ও পর্যবেক্ষণ জানাতে গিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, প্রথমত, সর্বাবস্থায় খাদ্যের উৎপাদন বাড়াতে হবে। কারণ, যতই খাদ্যের আমদানির কথা বলা হোক না কেন, সমস্যাটি থাকবেই। যদিও রাশিয়া ও ইউক্রেন থেকে খাদ্যশস্য রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু বৈদেশিক মুদ্রার যেহেতু সংকট হচ্ছে, ফেডারেল রিজার্ভের হার বেড়ে যাওয়ার ফলে যেসব দেশ ঋণ নিয়ে কাজ করে বা যাদের আমদানি বেশি, তাদের দুই দিক থেকেই অসুবিধা হচ্ছে।

খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, দ্বিতীয়ত, বিদেশে যেন অদক্ষ শ্রমিক না পাঠিয়ে দক্ষ শ্রমিক পাঠানো হয়। তাতে উচ্চ বেতনে কাজ করা সম্ভব হবে। সংশ্লিষ্ট দেশের চাহিদা অনুসরণ করে যেন এই সুযোগ বাড়ানো হয়। আর দক্ষতার সনদের ক্ষেত্রে যেন যথাযথ প্রতিষ্ঠানের সনদ দেওয়া হয়। তৃতীয়ত, প্রবাসী আয় (রেমিট্যান্স) বাড়ানোর জন্য কিছু কিছু নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক একটি পরিপত্র দিয়েছে বা না দিলে দেবে যে এখন আর রেমিট্যান্স পাঠাতে আলাদা ফি দিতে হবে না। যে ব্যাংকে পাঠাবে, সেই ব্যাংকই বিষয়টি দেখবে। আরও কিছু ক্ষেত্রে নমনীয়তা দেখানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, চতুর্থত, বৈদেশিক বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। এ জন্য বিনিয়োগের যেসব শর্ত আছে, সেগুলোকে আরেকটু নমনীয় করা যায় কি না, সেটি দেখতে বলা হয়েছে। এ বিষয়ে ইতিমধ্যে কয়েকবার বসা হয়েছে এবং কাজ চলছে। বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষেই (বিডা) কয়েকটি শাখা থাকবে। যেমন লাইসেন্সের জন্য যেন পৌরসভা বা সিটি করপোরেশনে যেতে না হয়।